ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি

‍ুুুুুুআমাদের দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার (নি¤œ মাধ্যমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসা) ৯৮ শতাংশ বেসরকারি ব্যবস্থাপনানির্ভর। মাধ্যমিক স্তরে বিভিন্ন পর্যায়ে ৮ হাজারের অধিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় আছে। যা এই স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক-চতুর্থাংশ। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ২০ লক্ষের অধিক শিক্ষার্থীর পাঠদানে নিয়োজিত। পরিতাপের বিষয়, দীর্ঘ ১০-১৫ বছর বিনা বেতনে এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিনা বেতনের এসব শিক্ষকদের দিয়ে মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব নয়। তাই আগামী বাজেটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি, সরকারের ভূমিকা এবং বাজেট বরাদ্দ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের উপর ০৫মে সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি মোঃ এশারত আলীর সভাপতিত্বে ও শরীফুজ্জামান আগা খানের সঞ্চালনায় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ, ইতিহাসবিদ ও সাবেক সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এ এন রাশেদা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ’র কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী। বৈঠকে সংগঠনের পক্ষে প্রতিবেদন পাঠ করেন ড. বিনয় ভূষণ রায়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার নানা ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার উল্লেখ করে তা দূর করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিনা বেতনের শিক্ষক দিয়ে মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব নয়। তিনি আসন্ন বাজেটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবি জানান।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একই নিয়ম নীতিতে পরিচালিত হয়। একই কারিকুলাম, সিলেবাস ও প্রশ্নপদ্ধতি অনুসরণ করে। শিক্ষার্থীরা বোর্ড থেকে একই মানের সার্টিফিকেট অর্জন করে। যে কারণে স্বীকৃতির সময় থেকে তাদের বেতন পাওয়ার কথা। অথচ তাদের কোন বেতন পাবে না তা মেনে নেয়া যায় না।

পাঠকের মতামত: